৪২। স্নেহময়ী
হাসিতে ভরিয়ে গেছে হানি মুখখানি ।
প্রভাতে ফুলের বনে দড়ায়ে আপন মনে
মরি মরি, মুখে নাই বাণী।
প্রভাতে কিরণগুলি চৌদিকে যেতেছে খুলি’
যেন শুভ্র কমলের দল,
আপন মহিম। লয়ে তারি মাঝে ঈাড়াইয়ে
কে তুই করুণামযী বল্।
অমিয়-মাধুরী মাখি চেয়ে আছে ছুটি আখি
জগতের প্রাণ জুড়াইছে,
ফুলেরা আমোদে মেতে হেলে ছলে বাতাসেতে
আখি হতে স্েহ কুড়াইছে।
কী যেন জানো গো ভাষা, কী যেন দিতেছ আশা
আখি দিয়ে পরান উথলে,
চারিদিকে ফুলগুলি কচি কচি বাহু তুলি
কোলে নাও, কোলে নাও বলে।
কারে যেন কাছে ডাকো, যেথা তুমি বসে থাকো
তার চারিদিকে থাকো তুমি,
তোমার আপন দিয়ে হাসিময়ী শাস্তি দিয়ে
পূর্ণ করো চরাচর ভূমি ।
ই-যে তোমার কাছে সকলে দাড়ায়ে আছে
ওরা মোর আপনার লোক,
ওরা-ও আমারি মতো তোর স্সেহে আছে রত,
জুঁই বেলা বকুল অশোক ।
বড়ো সাধ যায় তোরে ফুল হয়ে থাকি ঘিরে
কাননে ফুলের সাথে মিশে,
নয়ন-কিরণে তোর ছুলিবে পরান মোর,,
সুবাস ছুটিবে দিশে দিশে ।
পরশি তোমার কায়, মধুর প্রভাত বায়,
মধুময় কুস্থমের বাস,
ওই দুষ্টি-সুধা দাও, ওই দিক পানে চাও
প্রাণে ভোক প্রভাত বিকাশ ॥
