রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট কবিতা

৩৬। জ্যোতিষ-শাস্ত্র

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমি শুধু বলেছিলাম-_
“কদম গাছের ডালে
পুণিমা-্টাদ আটকা পড়ে
যখন সন্ধ্যেকালে
তখন কি কেউ তা’রে
ধরে আনতে পারে ।”
শুনে দাদা হেসে কেন
বললে আমায় “খোকা,
তোর মতো আর দেখি নাইকো বোকা! ।
টাদ-যে থাকে অনেক দুরে
কেমন ক’রে ছুই |”
আমি বলি, “দাদ। তুমি
জানো না কিচ্ছ,ই।
মা আমাদের হাসে যখন
এ জানলার ফাঁকে
তখন তুমি বলবে কি, মা
অনেক দূরে থাকে”
তবু দাদ! বলে আমায় “খোকা,
তোর মতো আর দেখি নাই তো। বোকা,

দাদা বলে, “পাবি কোথায়

অত বড়ো ফাদ ।”
আমি বলি “কেন দাদা,
এ তো ছোটে। চাদ,
ছুটি মুঠোয় ওরে
আনতে পারি ধ’রে ।”
শুনে দাদা হেসে কেন
বললে আমায় “খোকা,
তোর মতো৷ আর দেখি নাই তো! বোকা। ।
চাদ যদি এই কাছে আসত
দেখতে কত বড়ো ।”
আমি বলি, “কী তুমি ছাই
ইঙ্কুলে-যে পড়ো ।
মা আমাদের চুমো খেতে
মাথা! করে নিচু,
তখন কি মার মুখটি দেখায়
মস্ত বড়ো কিছু |”
তবু দাদা বলে আমায়,”খোকা।,
তোর মতো। আর দেখি নাই তো বোক।


Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *