৩১। রাজার বাড়ি
আমার রাজার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না সেতো;
সে-বাড়ি কি থাকত যদি লোকে জানতে পেত।
রূপো দিয়ে দেয়াল গাঁথা, সোন। দিয়ে ছাত,
থাকে থাকে সিঁড়ি ওঠে সাদ! হাতির ছীত।
সাত-মহলা-কোঠায় সেথা থাকেন সুয়োরানী
সাত-রাজার-ধন মানিক-গাথা গলার মালাখানি ।
আমার রাজার বাড়ি কোথায় শোন্ মা, কানে কানে–
ছাদের পাশে তুলসীগাছের টব আছে যেইখানে ||.
রাজকন্যা ঘুমোয় কোথা সাতসাগরের পারে
আমি ছাড়া আর কেহ তে পায় না খুঁজে তারে ।
হাতে তার কাকন ছুটি, ছুই কানে ছুই ছুল,
ঘাটের থেকে মাটির পরে লুটিয়ে পড়ে চুল।
ঘুম ভেঙে তার যাবে যখন সোনার কাঠি ছুঁয়ে
হাসিতে তার মানিকগুলি পড়বে ঝরে ভুয়ে।
রাজকন্যা ঘুমোয় কোথা-_শোন্ মাঃ কানে কানে
ছাদের পাশে তুলসীগাছের টব আছে যেইখানে ॥
তোমরা যখন ঘাটে চলো ক্লানের বেলা হোলে
আমি তখন চুপি চুপি যাই সে-ছাদে চলে ।
পাঁচিল বেয়ে ছায়াখানি পড়ে, মা, যেই কোণে
সেইখানেতে পা ছড়িয়ে বসি আপন মনে।
সঙ্গে শুধু নিয়ে আসি মিনি বেড়ালটাকে,
সে-ও জানে নাপিত ভায়া কোন্খানেতে থাকে ।
জানিস নাপিত-পাড়। কোথায়–শোন্ মা, কানে কানে-
‘ছাদের পাশে তুলসীগাছের টব আছে যেইখানে ॥
