২৮। পরিচয়
তারাগুলি ফেলে বুঝি
নেমে আসবে কাছে।
স্থধামুখের হাসিখানি
চুরি ক’রে নিয়ে
রাতারাতি পালিয়ে যাবে
মেঘের আড়াল দিয়ে ।
আমর তারে রাখব ধরে
রানীর পাশেতে ৷
হাসিরাশি বাধা র’বে
হাসি রাশিতে ॥
একটি মেয়ে আছে জানি,
পল্লীটি তার দখলে,
সবাই তারি পুজো জোগায়
লক্ষী বলে সকলে ।
আমি কিন্তু বলি তোমায়
কথায় ষদি মন দেহো-
খুব-যে উনি লক্ষ্মী মেয়ে,
আছে আমার সন্দেহ
ভোরের বেলা আধার থাকে,
ঘুম-যে কোথ। ছোটে ওর)__-
বিছানাতে হুলুস্থুলু
কলরবের চোটে ওর ॥
খিলখিলিয়ে হাসে শুধু
পাড়াস্মদ্ধ জাগিয়ে,
আড়ি ক’রে পালাতে যায়
মায়ের কোলে না গিয়ে ।
হাত বাড়িয়ে মুখে সে চায়,
আমি তখন নাচারি,
কাধের পরে তুলে তারে
করে বেড়াই পা-চারি ॥
মনের মতন বাহন পেয়ে
ভারি মনের খুশিতে
মারে আমায় মোটা মোটা
নরম নরম ঘুষিতে ।
আমি ব্যস্ত হয়ে বলি-_
“একটু রোসো৷ রোসো মা
মুঠো ক’রে ধরতে আসে
আমার চোখের চষমা।
আমার সঙ্গে কলভাবায়
করে কতই কলহ ।,
তুমুল কাণ্ড । তোমরা তারে
শিট আচার বলহ !
তবু তো তার সঙ্গে আমার
বিবাদ করা সাজে না।
সে নইলে-যে তৈমন কারে
ঘরের বাঁশি বাজে না।
সে না হোলে সকাল বেলায়
এত কুস্থম ফুটবে কি।
স ন! ভোলে সন্ধ্যেবেলায়
সন্ধ্যেতারা উঠবে কি।
একটি দণ্ড ঘরে আমার
না যদি রয় ছুরম্ত।
কোনোমতে হয় না তবে
বুকের শৃহ্য পূরণ তো ।
হুষ্ট মি তার দখিন হাঁওয়।
সুখের তুফান-জাগানে,
দাল। দিয়ে যায় গো আমার
হৃদয়ের ফুল-বাগানে ॥
নাম যদি তার জিগেস করো
সেই আছে এক ভাবনা»
কোন্ নামে-যে দিই পরিচয়
সে তে! ভেবেই পাব না।
নামের খবর কে রাখে ওর
ডাকি ওরে যা-খুশি
হুষ্ট, বলো দস্তি বলো
পোড়ারমুখী রাক্ষুসী |
বাপ-মায়ে যে নাম দিয়েছে
বাপ-মায়েরই থাক্ সে নয়
ছিষ্টি খুঁজে মিষ্টি নামটি
তুলে রাখুন বাকৃসে নয় ॥
একজনেতে নাম রাখবে
কখন অন্নপ্রাশনে,
বিশ্বনুদ্ধ সে-নাম নেবে
ভারি বিষম শাসন এ।
নিজের মনের মতে সবাই
করুন কেন নামকরণ,
বাবা ডাকুন চন্দ্রকুমার,
খুড়ো ডাকুন রামচরণ ।
ঘরের মেয়ে তার কি সাজে
স্কৃত নামটা এ ।
এতে কারো দাম বাড়ে না
অভিধাঁনের দামটা বই ।
আমি বাপু ডেকেই বসি
যেটাই মুখে আন্মুক না।
যারে ডাকি সে তো! বো
আর সকলে হাস্থক না;
একটি ছোটে মানব তাহার
একশে। রকম রঙ্গ তো ।
এমন লোককে একটি নামেই
ডাকা কি হয় সংগত ।
