রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট কবিতা

২৮। পরিচয়

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তারাগুলি ফেলে বুঝি

নেমে আসবে কাছে।
স্থধামুখের হাসিখানি

চুরি ক’রে নিয়ে
রাতারাতি পালিয়ে যাবে

মেঘের আড়াল দিয়ে ।
আমর তারে রাখব ধরে

রানীর পাশেতে ৷
হাসিরাশি বাধা র’বে

হাসি রাশিতে ॥

একটি মেয়ে আছে জানি,

পল্লীটি তার দখলে,
সবাই তারি পুজো জোগায়

লক্ষী বলে সকলে ।
আমি কিন্তু বলি তোমায়

কথায় ষদি মন দেহো-
খুব-যে উনি লক্ষ্মী মেয়ে,

আছে আমার সন্দেহ

ভোরের বেলা আধার থাকে,

ঘুম-যে কোথ। ছোটে ওর)__-
বিছানাতে হুলুস্থুলু

কলরবের চোটে ওর ॥
খিলখিলিয়ে হাসে শুধু

পাড়াস্মদ্ধ জাগিয়ে,
আড়ি ক’রে পালাতে যায়

মায়ের কোলে না গিয়ে ।
হাত বাড়িয়ে মুখে সে চায়,

আমি তখন নাচারি,
কাধের পরে তুলে তারে

করে বেড়াই পা-চারি ॥
মনের মতন বাহন পেয়ে

ভারি মনের খুশিতে
মারে আমায় মোটা মোটা

নরম নরম ঘুষিতে ।
আমি ব্যস্ত হয়ে বলি-_

“একটু রোসো৷ রোসো মা
মুঠো ক’রে ধরতে আসে

আমার চোখের চষমা।
আমার সঙ্গে কলভাবায়

করে কতই কলহ ।,

তুমুল কাণ্ড । তোমরা তারে

শিট আচার বলহ !
তবু তো তার সঙ্গে আমার

বিবাদ করা সাজে না।
সে নইলে-যে তৈমন কারে

ঘরের বাঁশি বাজে না।
সে না হোলে সকাল বেলায়

এত কুস্থম ফুটবে কি।
স ন! ভোলে সন্ধ্যেবেলায়

সন্ধ্যেতারা উঠবে কি।
একটি দণ্ড ঘরে আমার

না যদি রয় ছুরম্ত।
কোনোমতে হয় না তবে

বুকের শৃহ্য পূরণ তো ।
হুষ্ট মি তার দখিন হাঁওয়।

সুখের তুফান-জাগানে,
দাল। দিয়ে যায় গো আমার

হৃদয়ের ফুল-বাগানে ॥

নাম যদি তার জিগেস করো
সেই আছে এক ভাবনা»

কোন্‌ নামে-যে দিই পরিচয়

সে তে! ভেবেই পাব না।
নামের খবর কে রাখে ওর

ডাকি ওরে যা-খুশি
হুষ্ট, বলো দস্তি বলো

পোড়ারমুখী রাক্ষুসী |
বাপ-মায়ে যে নাম দিয়েছে

বাপ-মায়েরই থাক্‌ সে নয়
ছিষ্টি খুঁজে মিষ্টি নামটি

তুলে রাখুন বাকৃসে নয় ॥

একজনেতে নাম রাখবে

কখন অন্নপ্রাশনে,
বিশ্বনুদ্ধ সে-নাম নেবে

ভারি বিষম শাসন এ।
নিজের মনের মতে সবাই

করুন কেন নামকরণ,
বাবা ডাকুন চন্দ্রকুমার,

খুড়ো ডাকুন রামচরণ ।
ঘরের মেয়ে তার কি সাজে

স্কৃত নামটা এ ।

এতে কারো দাম বাড়ে না

অভিধাঁনের দামটা বই ।
আমি বাপু ডেকেই বসি

যেটাই মুখে আন্মুক না।
যারে ডাকি সে তো! বো

আর সকলে হাস্থক না;
একটি ছোটে মানব তাহার

একশে। রকম রঙ্গ তো ।
এমন লোককে একটি নামেই

ডাকা কি হয় সংগত ।


Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *