রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট কবিতা

২৬। অস্তসখী

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রজনী একাদশী

পোহায় ধীরে ধীরে,
রডিন মেঘমাল।

উবারে বাধে ঘিরে ।
আকাশে ক্গীণ শশী

আড়ালে যেতে চায়,
দাড়ায়ে মাঝখানে

কিনারা নাহি পায়।
এ হেন কালে, যেন

মায়ের পানে মেয়ে
রয়েছে শুকতার।

চাদের মুখে চেয়ে ।
কে তুমি মরি মরি

একটুখানি প্রাণ ।
এনেছ কী না জানি

করিতে ওরে দান।
মহিম। যত ছিল

উদয়-বেলাকার
যতেক স্ুুখ-সাথী

এখনি যাবে যার,

পুরানো সব গেলে,
নুতন তুমি একা
বিদায়-কাালে তারে
হাসিয়া দিলে দেখা ।

ও চাদ যামিনীর

হাঁসির অবশেষ,
ও শুধু অতীতের

স্বখের স্মতিলেশ,
তাহারা দ্রুতপদে

কোথায় গেছে সরে,
পারেনি সাথে যেতে

পিছিয়ে আছে পড়ে ।

তাদেরি পানে ও-যে

নয়ন ছিল মেলি,
তাদেরি পথে ও-ষে

চরণ ছিল ফেলি,
এমন সময়ে কে

ডাকিল পিছু পানে
একটি আলোকেরি

একটু. মহ গানে ॥

গভীর রজনীর

রিক্ত ভিখারীকে
ভোরের বেলাকার

কী লিপি. দিলে লিখে
সোনার-আভা1-মাখা

কী নব আশাখানি
শিশির-জলে ধুয়ে

তাহারে দিল আনি ।

অস্ত উদয়ের

মাঝেতে তুমি এসে
প্রাচীন নবীনেরে

টানিছ ভালবেসে,
বধূ ও বর-বূপে

করিলে এক-হিয়া
করুণ কিরণের

গ্রন্থি বাধি দিয়া ॥


Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *