২৬। অস্তসখী
রজনী একাদশী
পোহায় ধীরে ধীরে,
রডিন মেঘমাল।
উবারে বাধে ঘিরে ।
আকাশে ক্গীণ শশী
আড়ালে যেতে চায়,
দাড়ায়ে মাঝখানে
কিনারা নাহি পায়।
এ হেন কালে, যেন
মায়ের পানে মেয়ে
রয়েছে শুকতার।
চাদের মুখে চেয়ে ।
কে তুমি মরি মরি
একটুখানি প্রাণ ।
এনেছ কী না জানি
করিতে ওরে দান।
মহিম। যত ছিল
উদয়-বেলাকার
যতেক স্ুুখ-সাথী
এখনি যাবে যার,
পুরানো সব গেলে,
নুতন তুমি একা
বিদায়-কাালে তারে
হাসিয়া দিলে দেখা ।
ও চাদ যামিনীর
হাঁসির অবশেষ,
ও শুধু অতীতের
স্বখের স্মতিলেশ,
তাহারা দ্রুতপদে
কোথায় গেছে সরে,
পারেনি সাথে যেতে
পিছিয়ে আছে পড়ে ।
তাদেরি পানে ও-যে
নয়ন ছিল মেলি,
তাদেরি পথে ও-ষে
চরণ ছিল ফেলি,
এমন সময়ে কে
ডাকিল পিছু পানে
একটি আলোকেরি
একটু. মহ গানে ॥
গভীর রজনীর
রিক্ত ভিখারীকে
ভোরের বেলাকার
কী লিপি. দিলে লিখে
সোনার-আভা1-মাখা
কী নব আশাখানি
শিশির-জলে ধুয়ে
তাহারে দিল আনি ।
অস্ত উদয়ের
মাঝেতে তুমি এসে
প্রাচীন নবীনেরে
টানিছ ভালবেসে,
বধূ ও বর-বূপে
করিলে এক-হিয়া
করুণ কিরণের
গ্রন্থি বাধি দিয়া ॥
