১২। খেলা
তোমার কটি-তটের ধটি
কে দিল রাডিয়। |
কোমল গায়ে দিল পরায়ে
রঙিন আডিয়।।
বিহান বেলা আডিন। তলে
এসেছ তুমি কী খেলাছলে,
চরণ ছুটি চলিতে ছুটি
পড়িছে ভাঙিয়া ।
তোমার কটি-তটের ধটি
কে দিল রাডিয়। ।
কিসের স্থখে সমাস মুখে
নাঁচিছ বাছনি,
দুয়ার পাশে জননী হাসে
হেরিয়া নাচনি ।
তাথেই থেই তালির সাথে
এ কাকন বাজে মায়ের হাতে,
রাখাল-বেশে ধরেছ হেসে
বেণুর পাঁচনি।
কিসের সুখে সহাস মুখে
নাচিছ ধাচছনি ॥
ভিখারি ওরে, অমন করে
শরম ভূলিয়!
মাগিস কিব। মায়ের গ্রীবা
আকড়ি’ ঝুলিয়া |
ওরে রে লোভী, ভূবনখানি
গগন হতে উপাড়ি আনি;
ভরিয়! ছুটি ললিত মুঠি
দিব কি তুলিয়া।
কী চাস ওরে অমন করে
শরম ভুলিয়া ।
নিখিল শোনে আকুল মনে
নৃুপুর-বাজন! ।
তপন শশী হেরিছে বসি
তোমার সাজনা।
ঘুমাও যবে মায়ের বুকে
আকাশ চেয়ে রহে ও মুখে,
জাগিলে পরে প্রভাত করে
নয়ন-মাজন]।
নিখিল শোনে আকুল মনে
নৃপুর-বাজনা ॥
ঘুমের বুড়ী আসিছে উড়ি
নয়ন-ঢুলানী,
গায়ের পরে কোমল-করে
পরশ-বুলানী ।
মায়ের প্রাণে তোমারি লাগি
জগৎ-মাত। রয়েছে জাগি,
ভূুবনমাঝে নিয়ত রাঁজে
ভুবন-ভুলানী ।
ঘুমের বুড়ী আসিছে উড়ি
নয়ন-ঢুলানী ।
