১১। জন্মকথা
খোকা মাকে শুধায় ডেকে–
“এলেম আমি কোথা থেকে,
কোন্খানে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে ।”
মা শুনে কয় হেসে কেদে
খোকারে তার বুকে বেধে,_
“ইচ্ছ। হয়ে ছিলি মনের মাঝারে ॥
ছিলি আমার পুতুল-খেলায়,
প্রভাতে শিবপৃজার বেলায়
তোরে আমি ভেঙেছি আর গড়েছি।
তুই আমার ঠাকুরের সনে
ছিলি পুজার সিংহাসনে,
তারি পুজায় তোমার পুজ। করেছি ॥
আমার চিরকালের আশায়,
আমার সকল ভালবাসায়
আমার মায়ের দ্িদিমায়ের পরানে
পুরানো এই মোদের ঘরে
গৃহদেবীর কোলের পরে
কতকাল-যে লুকিয়েছিলি কে জানে ॥
যৌবনেতে যখন হিয়।
_. উঠেছিল প্রস্ফুটিয়া,
তুই ছিলি সৌরভের মতো মিলায়ে,
আমার তরুণ অঙ্গে অঙ্গে
জড়িয়ে ছিলি সঙ্গে সঙ্গে
তোর লাবণ্য কোমলত। বিলায়ে ॥
সব দেবতার আদরের ধন,
নিত্যকালের তুই পুরাতন,
তুই প্রভাতের আলোর সমবয়সী,-
তুই জগতের স্বপ্ন হতে
এসেছিস আনন্দ-শ্রোতে
নৃতন হয়ে আমার বুকে বিলসি ॥
নিনিমেষে তোমায় হেরে
তোর রহস্য বুঝিনে রে,
সবার ছিলি আমার হলি কেমনে ।
ওই’দেহে এই দেহ চুমি?
মায়ের খোক। হয়ে তুমি
মধুর হেসে দেখা দিলে ভুবনে ॥
হারাই হারাই ভয়ে গো তাই
বুকে চেপে রাখতে-যে চাই,
কেঁদে মরি একটু সরে দাড়ালে।
জানি না কোন্ মায়ায় ফেঁদে
বিশ্বের ধন রাখব বেঁধে
আমার এ ক্ষীণ বানু তুটির আড়ালে ॥”
