৪৫। মা-লক্ষী
কার পানে মা, চেয়ে আছ
মেলি ছুটি করুণ আখি ।
কে ছিড়েছে ফুলের পাতা,
কে ধরেছে বনের পাখি,
কে কারে কী বলেছে গে,
কার প্রাণে বেজেছে ব্যথা,
করুণায় যে ভরে এল
হু-খাঁনি তার আখির পাতা ।’
খেলতে খেলতে মায়ের আমার
আর বুঝি হোলো না খেলা
ফুলের গুচ্ছ কোলে পড়ে;
কেন মা এ হেলাফেলা ।
অনেক ছঃখ আছে হেথায়
এ জগৎ যে হুঃখে ভরা,
তোমার ছুটি আখির স্ুধায়
জুড়িয়ে গেল নিখিল ধরা ।
লক্ষ্মী আমার বল্ দেখি মা,
লুকিয়ে ছিলি কোন্ সাগরে
সহস! আজ কাহার পুণ্যে
উদয় হলি মোদের ঘরে।
সঙ্গে করে নিয়ে এলি
হ্ৃদয়-ভরা সেহের সুধা,
হৃদয় ঢেলে মিটিয়ে যাবি
এ জগতের প্রেমের ক্ষুধা ।
‘থামো, থামো, ওর কাছেতে
কোযো না কেউ কঠোর কথা,
অরুণ আখির বালাই নিয়ে
কেউ কারে দিয়ো না ব্যথা ।
সইতে যদি না পারে ও
কেদে যদি চলে যায়__
এ ধরণীর পাষাণ প্রাণে
ফুলের মতো ঝরে যায়।
ওয়ে আমার শিশিরকণা,
ওষে আমার সাজের তারা ।
করবে এল কবে যাবে,
এই ভয়েতে হই রে সারা ॥

 
			 
			 
			 
			