১১। ভিতরে ও বাহিরে
খোকা থাকে জগৎমায়ের
অস্তঃপুরে,
তাই সে শোনে কত-যে গান
কতই সুরে ।
নানান রঙে রাঙিয়ে দিয়ে
আকাশ পাতাল
মা রচেছেন খোকার খেলা-
ঘরের চাতাল।
তিনি হাসেন, যখন তরু-
লতার দলে
খোকার কাছে পাতা নেক্ডে
প্রলাপ বলে ।
সকল নিয়ম উড়িয়ে দিয়ে
সূর্য শশী
খোকার সাথে হাসে, ঘেন
এক-বয়সী ।
সত্য বুড়ো নানা রঙের
মুখোস পরে
শিশুর সনে শিশুর মতো!
গল্প করে।
চরাচরের সকল কম
করে হেলা
আ-যে আসেন খোকার সঙ্গে
করতে খেলা ।
খোকার জন্তে করেন স্থষ্টি
যা ইচ্ছে তাই,__
কোনো নিয়ম কোনো বাধা-
বিপত্তি নাই ।
বোবাদেরও কথ! বলান
খোকার কানে,
অসাড়কেও জাগিয়ে তোলেন
চেতন প্রাণে ।
ভিতরে ও বাহিরে গু
খোকার তরে গল্প রচে
বষ। শরৎ,
খেলার গৃহ হয়ে ওঠে
বিশ্বজগতৎ ।
খোকা তারি মাঝখানেতে
বেড়ায় ঘুরে
খোকা থাকে জগৎমায়ের
অন্তঃপুরে ।
আমরা থাকি জগৎপিতার
বিচ্যালয়ে,__
উঠেছে ঘর পাথর-গাথ।
দেয়াল লয়ে।
জ্যোতিষশাস্ত্রমতে চলে
সুর্য শশী,
নিয়ম থাকে বাগিয়ে লয়ে
রশারশি ।
এমনি ভাবে দাড়িয়ে থাকে
বৃক্ষ লতা,
যেন তার। বোঝেই নাকো
কোনোই কথ।।
চাপার ভালে চাপা ফোটে
এমনি ভানে
যেন তারা সাত ভায়েরে
কেউ না জানে।
মেঘেরা চায় এমনি তরো।
আবোধ ভাবে,
যেন তারা জানেই নাকো!
কোথায় যাবে ।
ভাঙা পুতুল গড়ায় ভুয়ে
সকাল বেলা,
যেন তারা কেবল শুধু
মাটির ঢেলা 1-.
দীঘি থাকে নীরব হয়ে
দিবারাত্র__
নাগকন্যের কথ। যেন
গল্লপমাত্র ।
স্রখ ছুঃখ এমনি বুকে
চেপে রহে-_
যেন তারা কিছুমাত্র
গল্প নহে।
যেমন আছে তেমনি থাকে
যে যাহা তাই-_
আর যে কিছু হবে, এমন
ক্ষমত। নাই ।
বিশ্ব-গুরুমশায় থাকেন
কঠিন হয়ে,
আমর থাকি জগৎপিতার
বিগ্ভালয়ে ।

 
			 
			 
			 
			 
			