janmodin-kobita

জন্মদিন | Janmodin Kobita

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তোমরা রচিলে যারে
নানা অলংকারে
তারে তো চিনি নে আমি,
চেনেন না মোর অন্তর্যামী
তোমাদের স্বাক্ষরিত সেই মোর নামের প্রতিমা।
বিধাতার সৃষ্টিসীমা
তোমাদের দৃষ্টির বাহিরে।
কালসমুদ্রের তীরে
বিরলে রচেন মূর্তিখানি
বিচিত্রিত রহস্যের যবনিকা টানি
রূপকার আপন নিভৃতে।
বাহির হইতে
মিলায়ে আলোক অন্ধকার
কেহ এক দেখে তারে, কেহ দেখে আর।
খণ্ড খণ্ড রূপ আর ছায়া,
আর কল্পনার মায়া,
আর মাঝে মাঝে শূন্য, এই নিয়ে পরিচয় গাঁথে
অপরিচয়ের ভূমিকাতে।
সংসারখেলার কক্ষে তাঁর
যে-খেলেনা রচিলেন মূর্তিকার
মোরে লয়ে মাটিতে আলোতে,
সাদায় কালোতে,
কে না জানে সে ক্ষণভঙ্গুর
কালের চাকার নিচে নিঃশেষে ভাঙিয়া হবে চুর।
সে বহিয়া এনেছে যে-দান
সে করে ক্ষণেকতরে অমরের ভান–
সহসা মুহূর্তে দেয় ফাঁকি,
মুঠি-কয় ধূলি রয় বাকি,
আর থাকে কালরাত্রি সব-চিহ্ন-ধুয়ে-মুছে-ফেলা।
তোমাদের জনতার খেলা
রচিল যে পুতুলিরে
সে কি লুব্ধ বিরাট ধূলিরে
এড়ায়ে আলোতে নিত্য রবে।
এ কথা কল্পনা কর যবে
তখন আমার
আপন গোপন রূপকার
হাসেন কি আঁখিকোণে,
সে কথাই ভাবি আজ মনে।

জন্মদিন | Janmodin Kobita সারাংশ:

এই কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের সৃষ্টিসৃষ্টিকর্তার প্রতি ভাবনা ও তার প্রতিষ্ঠানের অনুভূতি নিয়ে চিন্তা করেন। তিনি মানুষের জীবনের অজানা অভিজ্ঞতার বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং কবিতার মাধ্যমে মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির দিকে প্রয়োজনীয় প্রেরণা প্রদান করেন।

কবিতার মাধ্যমে মানুষের আত্মবিকাশ এবং ব্যক্তিত্ব নিয়ে অধ্যাত্মিক প্রশ্নগুলির পরিধি নিয়ে চিন্তা করেন, যে মানুষ তার আত্মার অভিজ্ঞতা এবং বিশ্ববিকাসের অলংকার প্রকাশ করে। এই কবিতার মাধ্যমে তিনি মানুষের জীবনের অজানা এবং অবিশ্বাস্য বিষয়ে ভাবনা করেন, যা মানুষকে তাদের আধ্যাত্মিক সত্যের সনাক্তকারী উন্নতি করতে সাহায্য করে।

কবিতার প্রথম দুই লাইনে, “তোমরা রচিলে যারে / নানা অলংকারে”, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণের প্রশ্নগুলির উপর কেন্দ্রীয়ভাবে ফোকাস করেন। এটি মানুষের আত্মপ্রকাশের উপর বিচার করে, যেখানে মানুষ তার আত্মার অভিজ্ঞতা এবং বিশ্ববিকাসের অলংকার প্রকাশ করে। এই কবিতার মাধ্যমে তিনি মানুষের আধ্যাত্মিক বা আত্মিক সত্যের অনুভূতি প্রাপ্ত করতে উত্তেজিত করেন।

এই কবিতার অন্য একটি মূল বিষয় হলো মানুষের সম্পর্কে একটি আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ এবং তাদের অজানা অভিজ্ঞতার বিষয়ে ধারণা দেওয়া। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের স্বভাবগুলির উপর বিচার করেন, মানুষের মধ্যে অদৃশ্য বা অজানা বিষয়গুলির উপর গভীরভাবে চিন্তা করেন।

এই কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাধ্যমে মানুষের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণের উপর একটি আলোকপ্রদান করে, যা মানুষকে তাদের সৃষ্টিকর্তার সাথে সংযোগ করে তাদের অজানা অভিজ্ঞতার উপর গভীরভাবে চিন্তা করতে উত্তেজিত করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *