 
		বাংলা সাহিত্যের মহামানব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন কবি, গল্পকার, নাট্যকার,মহান দার্শনিক, দেশপ্রেমিক, চিত্রশিল্পী এবং মানবতাবাদী। নীচে ছাত্র এবং শিশুদের জন্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে প্রবন্ধ রচনা দেওয়া হলো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্বন্ধে প্রবন্ধ রচনা | Essay on Rabindranath Tagore in Bengali
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন কিংবদন্তি ভারতীয় কবি। তদুপরি, তিনি একজন মহান দার্শনিক, দেশপ্রেমিক, চিত্রশিল্পী এবং মানবতাবাদীও ছিলেন। লোকেরা প্রায়শই তাঁর সম্পর্কে গুরুদেব শব্দটি ব্যবহার করে।
এই ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব ১৮৬১ সালের ৭ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা বিভিন্ন শিক্ষকের দ্বারা বাড়িতেই হয়েছিল। এছাড়াও, এই শিক্ষার মাধ্যমে তিনি অনেক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। তার উচ্চ শিক্ষা ইংল্যান্ডে হয়। সর্বোপরি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটবেলা থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ষোল বছর বয়স থেকে নাটক লিখতে শুরু করেন। বিশ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাল্মীকি প্রতিভা রচনা করেন। সবচেয়ে লক্ষণীয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাজকর্মের উপর নয়, অনুভূতিকে কেন্দ্র করে। ১৮৯০ সালে তিনি আরেকটি নাটক রচনা করেন বিসর্জন। বিসর্জন সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেরা নাটক।
একইভাবে ষোল বছর বয়স থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটগল্প লিখতে শুরু করেন। তাঁর প্রথম ছোটগল্প ভিখারিণী। সবচেয়ে লক্ষণীয়, তিনি বাংলা ভাষার ছোটগল্প ধারার প্রতিষ্ঠাতা। ঠাকুর অবশ্যই ১৮৯১ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত অসংখ্য গল্প লিখেছেন। এছাড়াও, এই সময়ের গল্পগুলি গল্পগুচ্ছের সংকলন গঠন করে। এটি ৮৪টি গল্পের একটি বড় সংগ্রহ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অবশ্যই উপন্যাসের সাথেও ছিলেন। তিনি আটটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস লিখেছেন। এছাড়া তিনি চারটি উপন্যাস লিখেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ কাব্য সংকলন গীতাঞ্জলি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলির জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তদুপরি, তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ হল মানসী, সোনার তরী এবং বলাকা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অবশ্যই গানে কম ছিলেন না। তিনি ২২৩০ বেশি গান লেখার খ্যাতি অর্জন করেন। ব্যবহারে জনপ্রিয় নাম রবীন্দ্রসংগীত, যা ঠাকুরের গানকে বোঝায়। তাঁর গানে অবশ্যই ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে। তার বিখ্যাত গান আমার সোনার বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। সর্বোপরি তিনি লিখেছেন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জন গণ মন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি আঁকা ও চিত্রকলায়ও চমৎকার দক্ষতা ছিল। সম্ভবত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লাল-সবুজ বর্ণান্ধ ছিলেন। এই কারণে, তার শিল্পকর্মে অদ্ভুত রঙের থিম রয়েছে।
রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের সম্পূর্ণ সমর্থনে ছিলেন। তদুপরি, তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরোধী ছিলেন। তাঁর কাজ মানস্তে তাঁর রাজনৈতিক মতামত রয়েছে। তিনি বেশ কিছু দেশাত্মবোধক গানও লিখেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের স্বাধীনতার প্রেরণা বাড়িয়েছিলেন। তিনি দেশপ্রেমের জন্য কিছু রচনা লিখেছেন। এ ধরনের কাজের প্রতি জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ভালোবাসা ছিল। এমনকি মহাত্মা গান্ধীও এই কাজের জন্য তার অনুগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নাইট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। তদুপরি, তিনি ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
পরিশেষে বলা যায়, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ভারতীয়। তিনি অবশ্যই বহু প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত ও রাজনীতিতে তার অবদান উজ্জ্বল।

 
			 
			 
			 
			 
			![[Kabuliwala story summary in Bengali]](https://rabindraaloy.com/wp-content/uploads/2022/02/example-img-wpp1644681967644-768x576.jpg)